ইগো নিয়ে উক্তি, ৬৫ টি ইগো নিয়ে বাণী

ইগো নিয়ে উক্তি, ইগো নিয়ে বাণী: মানুষ সামাজিক জীব। ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা সামাজিক জীব হিসেবে চলতে গেলে মানু কে অপরের সাথে মিলে মিশে চলতে হয়। ফলে তাকে বিভিন্ন রকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে হয়। অনেক সময় এসব সম্পর্কের ফাটলের কারণ হিসেবে ইগোকেই দায়ী করা হয়। মানুষের সকল প্রকার সম্পর্ককে নিমিষে ধ্বংস করার অন্যতম কারণ হলো এই ইগো। বিশিষ্ট জনেরা এই ইগো এবং ইগোর প্রভাবকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। নিম্নে ইগো নিয়ে তেমনি কিছু বাণী সংকলিত হলো। আশাকরি উক্ত ইগো নিয়ে বাণী বা ইগো নিয়ে উক্তি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

ইগো নিয়ে উক্তিঃ
০১। তুমি যখন বিচক্ষণ হতে থাকবে, তখন ইগোও জানালা দিয়ে পালাতে শুরু করবে।
-বিলি ওশান
০২। যে কোনও বড় অর্জনের পথে ইগো হল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।
– রিচার্ড রোস
০৩। ইগো হলো শয়তানের একটি বড় হাতিয়ার যা অনেক বুদ্ধিমান ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদেরকেও খুব দ্রুত বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
০৪। ইগো যদি কারও বাহন হয়, তবে সে কোথাও পৌঁছতে পারবে না।
– রবার্ট হ্যাল্ফ
০৫। ইগো মানুষের নিজেকে নিজে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকে নি:শব্দে নষ্ট করে ফেলে।
–কলিন হাইটাওয়ার
০৬। যখনই আমি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠি তখনই আমাকে ‘অহংকার’ নামে একটি কুকুর অনুসরণ করে।
– ফ্রেডরিখ নিটশে
০৭। একজন মানুষের ইগো ভাঙার মূহুর্তের চেয়ে ভালো মূহুর্ত আর একটিও নেই।
–ববি ফিশার
০৮। যাদের ইগো বড়, তাদের জানার ক্ষমতা ছোট।
–রবার্ট স্কুলার
০৯। যেখানে ইগোর জয় হয় সেখানে ভালোবাসার পরাজয় নিশ্চিত।
– রেদোয়ান মাসুদ
১০। অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ইগোর সবচেয়ে বড় একটি অস্ত্র। এটা না হলে সে নিজেকে শক্তিশালী করতে পারে না।
– ইকহার্ট টলি
আরও পড়ুন… বাবাকে নিয়ে সাড়া জাগানো ৫০ টি উক্তি

১১। পৃথিবীর যাবতীয় বিবাদ, যুদ্ধ আর ব্যর্থতার জন্য যদি মাত্র একটি জিনিসকে দায়ী করা হয় তা হবে মানুষের ইগো।
–সংগৃহীত
১২। ভালোবাসা তখন খুশি হয়ে যায় যখন এটি আমাদের কিছু দেয়। আর ইগো খুশি হয়ে যায় যখন এটি আমাদের কাছ থেকে কিছু নিয়ে যায়।
-অশো
১৩। যখন আপনি ভালোবাসায় আচ্ছাদিত থাকেন, তখন ইগো ফ্যাকাসে হয়ে যায়। কিন্তু আপনি ভাবেন না, আপনি ভালোবাসায় আছেন। এটা অনেকটা সুর্যের আলোর মত। সে দ্যুতি ছড়ায় কিন্তু নিজেই জানে না।
-রাম দাস
১৪। আপনি হয় ঈশ্বরের কাছে হোস্ট হতে পারেন, অথবা আপনার ইগোর কাছে জিম্মি হতে পারেন। এটা আপনার কল।
– ওয়েন ডায়ার
১৫। ইগো হল বোকাদের বোকা হওয়ার যন্ত্রণা লুকানোর উপায়।
– ড. হারবার্ট স্কোফিল্ড
১৬। ইগো মানুষের সুবুদ্ধির পথে অন্যতম বাধা।
– মারিয়ান মুর

১৭। নিজেকে আলাদা করার বড় কারণ এটা কি আপনি নাকি আপনার ইগো।
–প্রবাদ
১৮। ইগোর মৃত্যু মানে আত্মার জাগরণ।
–মহাত্মা গান্ধী
১৯। অতিরিক্ত আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষের ভালোবাসা কাচের চেয়েও ভয়ংকর। কাচ তো আঘাত করলে ভাঙে আর তাদের ভালোবাসা ভাঙে মনের অজান্তেই।
– রেদোয়ান মাসুদ
২০। বড় চিন্তা সব সময়ে হৃদয় থেকে আসে, ইগো থেকে এটা আসা সম্ভব নয়।
– সংগৃহীত
২১। যার জ্ঞান যত বেশি, তার ইগো তত কম। জ্ঞান কম, মানে ইগো বেশি।
– আলবার্ট আইনস্টাইন
২২। যখন ভুল বোঝাবুঝি বাড়ছে তখন ইগো ছেটে ফেলুন।
-প্রবাদ
২৩। ভালোবাসা অন্যকে কিছু দিতে পেরে সুখী হয়। ইগো ছিনিয়ে নিয়ে সুখী হয়।
–রাজনীশ
২৪। কেউ তোমার ভুল ধরিয়ে দিলে যদি তুমি অপমান বোধ কর, তোমার মাঝে ইগো সমস্যা আছে।
– নোমান আলী খান
২৫। আমি অহং এবং নিরাপত্তাহীনতা একসাথে খেলতে ভালোবাসি।
– জিম কেরি

আরও পড়ুন… মাকে নিয়ে বিখ্যাত ৫০ টি উক্তি

২৬। তুমি যখন তোমার ইগোকে চিনতে পারবে, তখন বুঝবে এটা আসলে তোমার মনের ভেতরে সৃষ্টি হওয়া কিছু অর্থহীন কথা।
– ইকহার্ট টলি
২৭। যখন আমার উত্থান হয় তখন আমি “ইগো” নামের একটু কুকুরকে অনুসরণ করি।
-ফ্রেডরিক নিচা
২৮। সত্যিকার বড় হতে চাইলে ইগোকে বন্দী করে রাখো।
– মেরি রবার্টস রিনহার্ট
২৯। ইগো বিচার করে এবং শাস্তি দেয় আর ভালোবাসা ক্ষমা করে এবং ক্ষত সারিয়ে তোলে।
-প্রবাদ
৩০। বড় মাপের ইগো বড় রকম দূরত্ব্বের ঢাল।
-ডায়েনা ব্ল্যাক
৩১। ইগো আমাদের চোখের ধূলার মত। এটাকে পরিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা কিছুকে দেখতে পাই না। তাই ইগো পরিষ্কার করে পৃথিবীকে দেখুন।
–প্রবাদ
৩২। ইগো কাছের মানুষদের মধ্যে খুব দ্রুত দূরুত্ব বাড়িয়ে দেয়।
– রেদোয়ান মাসুদ
৩৩। ইগো সবসময় এমনকিছু উদ্দীপনা খোঁজে যা দ্বারা আপনি আপনার কি আছে তা দেখতে পারেন।
-ম্যারিন উইলিয়ামসন
৩৪। ইগো হলো চোখে জমে থাকা ধুলোর মত। চোখের ধুলো পরিস্কার না হলে যেমন কিছু দেখা যায় না; তেমনি ইগো দূর না হলে সত্যিকার জগতকে দেখা যায় না।
– সংগৃহীত
৩৫। “অভিযোগ” ইগোকে শক্তিশালী করার জন্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌশল।
-ইকার্ট টলে
৩৬। হয় আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে নিমন্ত্রিত হোন, নাহয় ইগোর কাছে জিম্মি থাকুন। এটা আপনার আহবান নির্ভর।
-ওয়্যান ড্যায়ের
৩৭। তোমার ইগো কখনওই সত্যিকার তোমাকে ধারণ করে না। এটা একটা মুখোশ, একটা অভিনয়। এটা সব সময়ে অন্যের প্রশংসার ওপর নির্ভর করে। এটা সব নিজেকে শক্তিশালী ভাবতে চায় – কারণ সে সব সময়ে পরাজয়ের ভয় করে
–রাম দাস
৩৮। প্রতিভাকে খুন করা হল ইগোর সবচেয়ে বড় শক্তি।
– সংগৃহীত
৩৯। খুব বেশি ইগো আমাদের ট্যালেন্টকে নষ্ট করে।
-প্রবাদ
৪০। ইগোকে আয়ত্ত করুন, জয় করুন।
-আঞ্জেলিক হোপস

৪১। ওপরে ওঠার সময়ে ইগো মানুষকে কুকুরের মত অনুসরন করে।
– ফ্রেডরিচ নিডসে
৪২। যেই মূহুর্তে আপনি আপনার ভেতরের ইগো সম্পর্কে সচেতন হয়ে যান, তখন সেটা আর ইগো থাকে না; কিন্তু পুরোনো অভ্যাসের কারনে তা আপনার মনে বিড়বিড় করে। ইগোর মানে অসচেতনতা। সচেতনতা আর ইগো একসাথে থাকতে পারে না।
-ইকার্ট টলে
৪৩। ইগো অন্যের কাছে বড় হওয়ার নিরন্তর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
– অ্যালান ওয়াটস্
৪৪। ইগো আপনার অনুভূতিকে বিঘ্ন ঘটায়।
-ড্যানিয়েল লা পোর্তে
৪৫। ইগো মানুষকে অচেতন করে রাখে। চেতনা আর ইগো কখনও একসাথে থাকতে পারে না।
– ইকহার্ড টলি
৪৬। ইগোর সাথে আপনার সম্পর্ক
মানবজাতিতে ইগোর প্রভাব
মানব জাতির সবচেয়ে বড় শত্রু ইগো।
–প্রবাদ
৪৭। কোন কিছু অর্জন করার জন্যে ইগোই একমাত্র সবচেয়ে বড় বাধা।
-রিচার্ড রোজ
৪৮। ইগোইস্ট মানে এমন একজন মানুষ যে অন্য সবাইকে ছোট করে দেখে।
– জোসেফ ফোর্ট নিউটন
৪৯। ইগো সত্যিকার জ্ঞানী হওয়ার পথে একটি প্রধান বাধা।
– ড্যানিয়েল লা-পোর্ত (কানাডিয়ান বেস্ট সেলিং লেখিকা)
৫০। ইগোহীন আত্মবিশ্বাসই সত্যিকার আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাসের সাথে ইগো মিশে থাকলে, তা কখনওই খাঁটি আত্মবিশ্বাস নয়।
– সংগৃহীত

ইগো নিয়ে বাণী

৫১। তোমার ইগো তোমার আত্মার সবচেয়ে বড় শত্রু।
-রাস্টি ইরিক
৫২। বেশি জ্ঞানে ইগো কম হয়, কম জ্ঞানে ইগো বেশি।
-আলবার্ট আইনস্টাইন
৫৩। ভুল বোঝাবুঝি দূর করার প্রথম শর্ত হল ইগোকে হত্যা করা।
– সংগৃহীত
৫৪। ইগো তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু। সে সব সময়ে তোমাকে থামিয়ে রাখতে চাইবে।
– ফ্র্যাঙ্ক কার্লটন
৫৫। বড় ইগোর অশ্রু কম।
-রবার্ট শুলার
৫৬। অন্তর থেকে বড় কিছু ভাবুন, ইগো নয়।
-প্রবাদ
৫৭। গল্ফ একটি অহংকার খেলা, কিন্তু এটি সততার একটি খেলা: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি যা সঠিক তা করেন যখন কেউ তাকায় না।
– টম ওয়াটসন
৫৮। নিজের শুণ্যতাকে ঢাকার সবচেয়ে বাজে ও অকার্যকর ঢাল হল ইগো।
–সংগৃহীত
৫৯। আমি মনে করি মানুষ সাহায্য করতে পারে না এমন জিনিস ছাড়া আপনি যেকোনো কিছু নিয়ে মজা করতে পারেন। তারা তাদের জাতি বা তাদের লিঙ্গ বা তাদের বয়সকে সাহায্য করতে পারে না, তাই আপনি পরিবর্তে তাদের ভান বা তাদের অহংকারকে উপহাস করেন। আপনি ধারণাকে উপহাস করতে পারেন – ধারণার অনুভূতি থাকে না। আপনি এমন একটি ধারণাকে উপহাস করতে পারেন যা কেউ তাদের আঘাত না করে ধরে রাখে।
– রিকি গারভাইস
৬০। অহমের চূড়ান্ত লক্ষ্য কিছু দেখা নয়, কিছু হওয়া।
– মুহাম্মদ ইকবাল
৬১। যারা ভাবে যে তারা সবার চেয়ে বেশি জানে, তারা সত্যিকার জ্ঞানীদের কাছে বিরক্তিকর।
–আইজ্যাক আসিমভ্
৬২। ইগো মানুষের ভেতরের আত্মাকে স্পটলাইটের মত করে তুলে ধরে।
-জন ব্রাডশো
৬৩। ইগো মানব চেতনার তাৎক্ষণিক নির্দেশ।
– ম্যাক্স প্লাঙ্ক
৬৪। ইগো ছাড়া আত্মবিশ্বাসী হোন।
-প্রবাদ
৬৫। ইগো তার নিজের ঘরেরই কর্তা না।
-সিগমুন্ড ফ্রয়েড

আরও পড়ুন… মোটিভেশনাল ৫০ টি বিখ্যাত উক্তি

ইগো নিয়ে উক্তি বা ইগো নিয়ে বাণী পড়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ইগো কি তা জানতে হবে। ইগো ল্যাটিন শব্দ “আমি। তাই যদি একজন ব্যক্তি প্রতিটি বাক্যকে “আমি” দিয়ে শুরু করেন বলে মনে হয়, এটি কখনও কখনও একটি বড় অহংকার লক্ষণ। এটি মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড (ভাল, আসলে তার আসল অনুবাদক) যিনি জনপ্রিয় শব্দভাণ্ডারে অহংকে রেখেছিলেন, কিন্তু তিনি এই শব্দটি দ্বারা যা বোঝাতে চেয়েছিলেন তা জটিল, তাই শুধুমাত্র অন্যান্য মনোবিজ্ঞানীরা ফ্রয়েডীয় অর্থে এটি ব্যবহার করেন। আমাদের বাকিরা সাধারণত ইগো ব্যবহার করে নিজের মূল্যবোধ বোঝাতে, অতিরঞ্জিত হোক বা না হোক। যখন “অতিরিক্ত” অর্থে ব্যবহার করা হয়, তখন ইগো প্রায় একই জিনিস। এই ধরণের অহংবোধ ছাড়াই একজন সুপারস্টার অ্যাথলিটের সাথে দেখা করা একটি সবচেয়ে সতেজ অভিজ্ঞতা হবে। কিন্তু আপনার নিজের মূল্য সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত ধারণা থাকা কোন পাপ নয়। জীবনের সামান্য দৈনন্দিন জয় ভাল – আসলে, প্রয়োজনীয় – একটি সুস্থ অহং জন্য।